বাহুবল প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবলে কেয়া চৌধুরী এমপিসহ নারী ইউপি মেম্বারদের উপর হামলা মামলায় কারাগারে আটক জসিম উদ্দিনকে ৭ দিনের জন্য রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা হবিগঞ্জ ডিবি’র ওসি শাহ আলম।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহানের আদালতে রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীকালে আসামী পক্ষের আইনজীবী নিলাদ্রি শেখর পুরকায়েস্থ টিটু আসামীকে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক দাবি করলে বিজ্ঞ বিচারক আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীর মেডিকেল রিপোর্ট তলব করেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন।
গত রোববার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান উল্লেখিত আসামী জসিম উদ্দিন (২২) এর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে, গত মঙ্গলবার এ মামলার প্রধান আসামী নবনির্বাচিত বাহুবল ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারা মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদন করেন। শুনানী শেষে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন রুমী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ১০ নভেম্বর উপজেলার মিরপুর বাজারের অদূরে বেদে পল্লীতে সরকারি সহায়তার চেক বিতরণকালে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে হবিগঞ্জ-সিলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি’র উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় নারী ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার ও সাবেক নারী ইউপি সদস্য রাহিলা আক্তারসহ অন্যান্যরা আহত হন। গত ১৮ নভেম্বর রাতে এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলার লামাতাসী ইউপি’র ১নং (সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২ ও ৩) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পারভীন আক্তার। মামলায় নবনির্বাচিত বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারা মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আলাউর রহমান সাহেদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বাহুবল, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সিলেটসহ দেশ-বিদেশে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, ইউএনও অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।